প্যানিক এটাক এর লক্ষন
প্রিয় পাঠক আজ আপনারা জানবেন প্যানিক এটাক এর লক্ষন ও প্যানিক অ্যাটাক কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। প্যানিক এটাক এর লক্ষন সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক প্যানিক এটাক এর লক্ষন গুলো কি কি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্যানিক এটাক এর লক্ষন
ভূমিকা
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা খুব অল্পতেই অস্বাভাবিক আচরণ করে ফেলে বা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এ সমস্ত সমস্যা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত রয়েছেন। আর তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাতে চলেছি, প্যানিক অ্যাটাক কি? প্যানিক এটাক এর লক্ষন এবং কিভাবে প্যানিক অ্যাটাক নিয়ন্ত্রণ করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। চলুন তাহলে নিচে দেখে আসি প্যানিক অ্যাটাক কি? এবং প্যানিক এটাক এর লক্ষনগুলো।
প্যানিক অ্যাটাক কি?
প্যানিক অ্যাটাক হল হঠাৎ করেই ভয় পাওয়া বা আতঙ্কিত হওয়া অতিরিক্ত আবেগে আপ্লুত হওয়া এবং যা অন্যদের কাছে অতিরিক্ত স্বাভাবিক এমন অবস্থাতেও পেনিক অ্যাটাক হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্যানিক অ্যাটাক হলে অতিরিক্ত ভয় পাওয়া, হঠাৎ করেই আতঙ্কিত হয়ে পড়া। এ সময় রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে আবার হার্টবিট প্রচুর বেড়ে যায়, এমনকি হালকা মাথা ব্যথা ও হয়ে থাকে।
প্যানিক এটাক এর লক্ষন
প্যানিক এটাক বলতে হঠাৎ করেই অতিরিক্ত ভয় পাওয়া বা আতঙ্কিত হওয়াকেই বোঝায়, চলুন তাহলে দেখে নেই প্যানিক এটাকের লক্ষণ গুলো কি কি।
- অতিরিক্ত ভয়- হঠাৎ করেই অতিরিক্ত ভয়ের অনুভূতি শুরু হতে পারে এবং হতে পারে প্যানিক এটাক এটি যে কোন কিছু নিয়েই উদ্বিগ্নতা যেকোনো কারণেই সৃষ্টি হতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট- সাধারণত যাদের প্যানিক অ্যাটাকের সমস্যা শুরু হয় তখন শ্বাসকষ্টের সমস্যাটা দেখা দেয়। এমন একটি অনুভব হবে যেন তিনি ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে পারছেন না আসলে এটি অত্যন্ত উদ্বেগ হওয়ার কারণে বা হাইপার হওয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাটি দেখা দেয়।
- জীবন সংসয় ভয়- হঠাৎ করে অনেকের হার্টবিট বেড়ে যায় এবং তারা এমনটি অনুভব করতে থাকে যে সে হয়তো মারা যাচ্ছে কিন্তু আসলে এমনটি কিছুই নয় এটিও প্যানিক এটাক এর লক্ষন।
- মাথা ঘুরানোর সমস্যা- প্যানিক এটাক এর লক্ষন হলো মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে পড়া অথবা মাথা ঘুরানো এবং শরীর অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে পড়া।
- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া- প্যানিক এটাক এর সময় হঠাৎ করেই শরীর গরম হয়ে যেতে পারে এবং ভেতর থেকেই ঘাম বের হওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়।
- এ সময় অনেকের হাত ও পা কাপার মতো সমস্যা হয় সমস্যা হয়।
- এ সমস্ত রোগীদের হঠাৎ করেই বুক ধরফর করতে থাকে, সেই সাথে বুকে ব্যথা ও অনুভব করে।
প্যানিক অ্যাটাক আটকানোর জন্য কি কি করা যায়
যে সমস্ত ব্যক্তিরা প্যানিক অ্যাটাকের সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্যানিক অ্যাটাকের সমস্যা কমানোর জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এক্ষেত্রে যে ডাক্তারের পরামর্শ করে ওষুধ সেবন করবেন অবশ্যই ডাক্তার কে আপনার সব ধরনের সমস্যা খুব ভালোভাবেই খুলে করার চেষ্টা করবেন। তবে আপনি ওষুধের পাশাপাশি নিজেদেরকে বেশ কিছু অভ্যাসের মধ্যে গড়ে তুলুন এতে করে প্যানিক অ্যাটাক আটকানো সম্ভব।
- এর মধ্যে একটি হল নিয়মিত ব্যায়াম করা- নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে এবং মানসিক স্ট্রেস বা অশান্তি দূর হয়।
- অবশ্যই যারা অতিরিক্ত উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকেন তাদের উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।
- যারা ক্যাফেইন খেয়ে থাকেন তারা অবশ্যই ক্যাফেইন কম পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করেই সেবন করবেন। আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্য রাখার চেষ্টা করুন।
- কোন কিছুতে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হবেন না, নিজেকে সবসময় স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবেন এবং আতঙ্কিত হচ্ছেন মনে করলে একটু ভালোভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার চেষ্টা করবেন এবং নিজেকে যত দ্রুত সম্ভব সবকিছু সহজভাবে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
প্যানিক এটাক এর লক্ষনঃ উপসংহার
প্যানিক এটাক এর সমস্যার জন্য অনেকেই নির্ভয়ে জীবন যাপন করতে পারেন না। যেকোনো সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় হঠাৎ করেই আতঙ্কিত হয়ে পড়া, ভয় ভীতি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তবে আজকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি, প্যানিক অ্যাটাক কি? প্যানিক এটাক এর লক্ষন ও প্যানিক অ্যাটাক আটকানোর জন্য কি কি করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
আরো পড়ুনঃ মুলতানি মাটির উপকারিতা
আপনারা যারা প্যানিক এটাক নিয়ে চিন্তিত তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। সেই সাথে আপনাদের খাদ্যাভ্যাসের তালিকায় পুষ্টিকর খাদ্য রাখুন, নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ২৫২৪২
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url