ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি জানলে আপনার কিনতে সহজ হবে। এই আর্টিকেল থেকে ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি জানতে পারবেন। ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি বুঝে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি রয়েছে না জেনে আপনি যদি দ্বিধান্বিত হয়ে যান যে, কোন ল্যাপটপ কিনলে আপনার জন্য ভালো হবে। তাই আপনি পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ে নিতে পারেন। কিনার পূর্বে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে মনোনিবেশ হতে ম্যাকবুক সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন।
পেইজ সূচিপত্র
- ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার কি
- ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি
- ম্যাকবুক এয়ার বা ম্যাকবুক প্রো কোনটি ভালো
- ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে কোনটির সুবিধা বেশি
- ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে কোনটি বেছে নিবেন
- ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের সমস্যার সমাধান
- শেষকথা
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার কি
ম্যাকবুক প্রো এমন এক ধরনের মডেল যা এন্ট্রি লেভেল এর মতই হয়ে থাকে। এই ম্যাকবুক প্রো হচ্ছে অ্যাপলের পোর্টেবল ল্যাপটপ মডেল। যা তেরো ইঞ্চির ডিসপ্লে এবং থেকে পনের ইঞ্চির ডিসপ্লে পর্যন্ত হতে পারে। ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি জেনে আপনি অতিরিক্ত কিছু ফিচার পেতে পারেন।
সাইজের দিক থেকে অনেক বড় হয় এবং প্রতিদিনের টেকনোলজি প্রোফেশনাল লাইফের জন্য এটি খুবই আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কিছু অতিরিক্ত ফিচার রয়েছে যেইগুলো দিয়ে আপনি ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং গেমিং এর কাজও করতে পারেন। কারণ এতে হাই এন্ড প্রসেসর রয়েছে।
অ্যাপল ম্যাকবুক বাজারে দুই ধরনের সাইজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি তেরো ইঞ্চি এবং অন্যটি পনেরো ইঞ্চি হয়ে থাকে। পনের ইঞ্চির ম্যাকবুক মডেলে আপনি পাঁচশো ষাট গ্রাফিক্স কার্ড পাবেন। যেটির মাধ্যমে আপনি ভিডিও এডিটিং, মাল্টি টাস্কিং এবং প্রোফেশনাল গেমিং এর কাজ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ইমেইল আইডি ডিলিট করার উপায়
ম্যাকবুক গুলোতে ইন্টেলের ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স রয়েছে। এবার চলুন ম্যাকবুক এয়ার সম্পর্কে জেনে আসি। যদি আপনার পর্যাপ্ত বাজেট থাকে, তাহলে আপনি এই ল্যাপটপ টিকে এড়িয়ে যেতে পারেন। কারণ এই অ্যাপলের ল্যাপটপটি বাজারে আসার পর থেকে খুব বেশি একটি আপডেট হয়নি।
ল্যাপটপ গুলো খুবই চিকন এবং হালকা হলেও এর পারফরম্যান্স খুবই পাওয়ারফুল হয়। আপনি পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টেল প্রসেসর পাবেন, যা বেশ পুরনো টাইপের হতে পারে। আপনার বাজেট যদি অল্প পরিমাণে থাকে, তাহলে আপনি এই ম্যাকবুক এয়ার কেনার জন্য যেতে পারেন।
কিন্তু ম্যাকবুক এয়ার এখন বাজারে যেই দামে পাওয়া যায়, এর সাথে অল্প একটু বাজেট বাড়িয়ে আপনি নিতে পারেন। যা আপনার সকল কাজে সহায়তা করতে পারে। তাই যখন ম্যাকবুক কিনতে যাবেন, তখন বিবেচনা করে সঠিক ম্যাকবুক বাছাই করুন।
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি
আপনি যদি ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি এই বিষয়ে খুব ভালোভাবে একটি ধারণা নিয়ে নেন, তাহলে আপনার ম্যাকবুক কিনতে খুবই সহজ হয়ে যাবে।
কারণ এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোনটি কিনলে আপনি খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ টেকসই ও আকর্ষণীয় হবে। তাহলে চলুন ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি এটি জেনে আসি।
১। ম্যাকবুক প্রো এমন একটি ঐতিহ্যবাহী ল্যাপটপ যা কর্মক্ষমতাকে অনেক দক্ষতার সাথে পরিচালিত করে এবং পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকায় এটি ব্যবহার করতে খুবই সুবিধা হয়।
২। এই ম্যাকবুক প্রো এর বিপরীতে থাকা ম্যাকবুক এয়ার এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বহনযোগ্যতা খুবই উদ্বেগের কারণ হয়। আকারের পাশাপাশি ওজন খুবই কম থাকে অর্থাৎ খুবই পাতলা হয় এবং ম্যাকবুক প্রো এর থেকে ম্যাকবুক এয়ারের ওজন খুবই হালকা হয়।
৩। এর দুইটি মডেল রয়েছে একটি এগারো ইঞ্চি এবং তেরো ইঞ্চির মডেল। এটি থেকে ম্যাকবুক প্রো এর মডেল একটু বেশি রয়েছে অর্থাৎ তেরো ইঞ্চি থেকে সতেরো ইঞ্চি পর্যন্ত মডেল রয়েছে।
৪। আপনি যদি বড় ধরনের স্ক্রিনে একটু ভালোভাবে দেখতে চান, তাহলে সিলেক্ট করতে পারেন। ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল তাদের যেই ড্রাইভ রয়েছে।
৫। কারণ ম্যাক বুক এয়ার এর সাথে শুধুমাত্র এসএসডি পাওয়া যাবে। সেই সাথে ম্যাকবুক প্রো হার্ড ড্রাইভের সাথে পাওয়া যায়। যদি আপনি এর সাথে এসএসটি যোগ করতে চান, তাহলে সেটি যুক্ত করে আপডেট করে নিতে পারবেন।
৬। তাই একটি এসএসডি থেকে একটি এইচ ডিডি থেকে একটি এসএসডি উচ্চতর হওয়ার কারণে অনেক দ্রুত পড়া এবং লেখার গতি দিয়ে থাকে যার ফলে কম শক্তি খরচ হয় এবং কোন ধরনের শব্দ সৃষ্টি হয় না।
৭। যেহেতু এসএসডি এর নেতিবাচক দিক রয়েছে এবং এটি কর্ম দক্ষতার সাথে পরিচালিত হয় তাই স্টোরেজ ক্ষমতাও অনেক বেশি। ম্যাকবুক প্রো তে ডিভিডি ড্রাইভ রয়েছে যার ফলে ডেটা ব্যাকআপ দিতে পারে।
৮। ম্যাকবুক এয়ারের এই ধরনের অভ্যন্তরীণ কোন ড্রাইভ নেই। তাই আপনি যদি উপরের যেকোনো একটি কাজ করতে চান, তাহলে আলাদাভাবে এক্সটার্নাল ডিভিডি ড্রাইভ কিনে নিতে হবে।
৯। তাই এইক্ষেত্রে আপনার খরচ বেড়ে যেতে পারে এবং বহন করার ক্ষেত্রেও একটু ভারী হতে পারে। আপনি একটু ভালো করে খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন ম্যাকবুক প্রো পারফরমেন্সের উপর খুবই ভালো হয়ে থাকে।
১০। কিন্তু ম্যাকবুক এয়ার বহন যোগ্যতার উপর একটু গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ম্যাকবুক প্রো এয়ারের থেকে একটু বড় আকারের হয়ে থাকে, যেখানে ড্রাইভ রয়েছে।
১১। কোন ধরনের ড্রাইভ নেই ম্যাকবুক এয়ারে শুধুমাত্র এসএস ডি ব্যবহার করে যেখানে ম্যাকবুক প্রো স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে এইচডি ডি ব্যবহার করে থাকে।
ম্যাকবুক এয়ার বা ম্যাকবুক প্রো কোনটি ভালো
ম্যাকবুক এয়ারের তুলনায় ম্যাকবুক প্রো অনেক ভালো হবে। কারণ ম্যাকবুক প্রো তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে চালিয়ে থাকে। ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার এর মধ্যে একটি প্রধান দূরত্ব হলো মোবাইল কম্পিউটারের বিভিন্ন দিকের ওপর তারা জোর দিয়ে থাকে।
ম্যাকবুক প্রো ভালো হবে এই জন্য যে, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ল্যাপটপ যা পর্যাপ্ত স্টোরেজের ক্ষমতা রাখে। কিন্তু ম্যাকবুক এয়ার বহনযোগ্যতা হয় বলে আকারের পাশাপাশি এর ওজন অনেক কম বিদ্যমান থাকে। এটি অনেক বেশি পাতলা এবং হালকা হয়।
যদি আপনি ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি জেনে ম্যাকবুক এয়ার মডেলকে সিলেক্ট করেন, তাহলে এটির ডিসপ্লে এর তুলনায় ছোট হবে। আর যদি আপনি ম্যাকবুক সিলেক্ট করে থাকেন, তাহলে এটি বড় স্ক্রিনে দেখতে পারবেন। আপনি বড় স্ক্রিনে দেখার আরাম নিতে পারবেন যা দেখে আপনার খুবই আকর্ষণীয় লাগবে।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
শুধুমাত্র এসএস ডি এর সাথে পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে হার্ড ড্রাইভের সাথে আপনি চাইলে এইচডিডি করে নিতে পারবেন। এতে করে আপনি দ্রুত পড়া এবং লেখার গতি বাড়াতে পারেন। কম শক্তি খরচ করতে পারেন এবং কোন শব্দ উৎপন্ন না করেই এটি হতে পারে।
এসএসডি এর নেতিবাচক দিক এর ক্ষমতা এবং বেশি খরচ হয়ে থাকে। বিশেষ করে ম্যাকবুক প্রো তে তিনশো বিশ জিবি, পাঁচশো জিবি এবং সাতশো পঞ্চাশ জিবি ধারণ করার ক্ষমতাও রয়েছে। কিন্তু ম্যাকবুক এয়ার শুধুমাত্র এসএস ডি বহন করে, যার ফলে চৌষট্টি জিবি অথবা একশো আটাশ জিবি ক্ষমতা ধারণ করে।
এর বেশি ধারণ করতে পারে না। ম্যাকবুক প্রো তে যেই ডিভিডি ড্রাইভ রয়েছে, যার ফলে আপনি ডাটা ব্যাকআপ নিতে পারবেন। কিন্তু ম্যাকবুক এয়ারে এই ধরনের ড্রাইভের কোন ধরনের সুবিধা নেই। আশা করছি বুঝতে পারছেন কেন ম্যাকবুক প্রো আপনার জন্য ভালো হবে।
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে কোনটির সুবিধা বেশি
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি জেনে নিলে ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার এর মধ্যে আপনি ম্যাকবুক প্রো থেকে সুবিধা বেশি পাবেন। এর সুবিধা গুলো হলো -
১। ম্যাকবুক প্রো খুবই প্রোফেশনাল একটি ডিভাইস। এই ধরনের প্রোফেশনাল ডিভাইস গুলো দিয়ে সফটওয়্যার খুবই ভালোভাবে চলে এবং যেকোন প্রোফেশনাল কাজের চাপ নেওয়ার মতো করে এই ডিভাইসকে বানানো হয়।
২। যেমন আপনি যদি ভিডিও এডিটিং, সফটওয়্যার অথবা অ্যাপস ডেভেলপিং। কনটেন্ট তৈরি করা এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এই ধরনের কাজ করে থাকেন।
৩। তাহলে খুব সহজেই এই প্রো ম্যাকবুক দিয়ে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু ম্যাকবুক এয়ার এর মাধ্যমে আপনি প্রোফেশনাল কাজ করতে পারবেন না।
৪। এটি গঠনগত দিক থেকে খুবই হালকা হয়ে থাকে এবং এর ক্ষমতাও নেওয়ার খুব বেশি সম্ভাবনা থাকে না। এটি দিয়ে আপনি খুব হালকা পাতলা কাজ করতে পারবেন।
৫। যেমন ওয়েব ব্রাউজিং, হাই রেজুলেশন ভিডিও, ওয়ার্ড প্রসেসর এবং ওয়েব ডেভেলপিং করা এই ধরনের কাজগুলো আপনি ম্যাকবুক এয়ার দিয়ে করতে পারবেন।
৬। খরচ অনেক বেশি পড়তে পারে। সেইগুলো ম্যাকবুক প্রো এর তুলনায় অনেক কম ক্ষমতা সম্পন্ন হয়, বলে খুব বেশি ভালো কাজ করতে পারে না। এছাড়াও এতে কোন ধরনের কুলিং ফ্যান নেই।
৭। ম্যাকবুক এয়ার ইনপুট দেওয়ার জন্য ইউএসবি পোর্ট ম্যাকবুক প্রো এর চেয়ে ম্যাকবুক এয়ার এর মধ্যে খুবই কম থাকে। এছাড়াও ম্যাকবুক এয়ারে ডেডিকেটেড কোন ধরনের গ্রাফিক্স চিপ থাকে না।
৮। যার ফলে ম্যাকবুক প্রো এর যেই সংস্করণ রয়েছে, সেখানে ইন্টারনাল গ্রাফিক্সের পাশাপাশি আলাদা গ্রাফিক্স চিপ যুক্ত থাকে। যার ফলে কাজ করতে সুবিধা হয়।
৯। এছাড়াও আপনি যদি ফিচারের দিক থেকে চিন্তা করেন, তাহলে ম্যাকবুক এয়ার থেকে ম্যাকবুক প্রো সব সময়ই অনেক ধাপে এগিয়ে রয়েছে।
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে কোনটি বেছে নিবেন
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার এর মধ্যে ম্যাকবুক প্রো সবার প্রথমে রয়েছে। কারণ ম্যাকবুক প্রো ব্যবহারের খুবই যোগ্য হয়ে থাকে। কারন এটি দিয়ে সব সময় প্রোফেশনাল যেকোনো ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে। এই সফটওয়্যার গুলো খুবই স্মুদ ভাবে চালানো যায়।
যার ফলে এটি ব্যবহারে খুবই আরাম যোগ্য হয়ে থাকে। ম্যাকবুক প্রো কাজের চাপ নেওয়ার মতো হয়ে থাকে।কারণ এই ম্যাকবুক প্রো দিয়ে আপনি চাইলে এডিটিং, সফটওয়্যার ডেভেলপিং, অ্যাপস ডেভেলপিং, কনটেন্ট তৈরি করা এবং গ্রাফিক্সের বিভিন্ন ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ মুলতানি মাটির উপকারিতা
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি জানলে এই ম্যাকবুক প্রো আপনার জন্য খুবই সুবিধা জনক। যদি আপনি ম্যাকবুক এয়ার কিনতে চান তাহলে গঠনগত দিক থেকে এটি খুবই হালকা পাতলা হয়। কিন্তু প্রোফেশনাল কোন ধরনের কাজ আপনি করতে পারবেন না।
খুবই হালকা পাতলা কাজ এই ম্যাকবুক এয়ার দিয়ে করা যায়, তাই অবশ্যই কিনার পূর্বে ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে কোনটিকে বেছে নেবেন সেটি ভালোভাবে চিন্তা করে নিবেন।
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের সমস্যার সমাধান
ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি না জানলে ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার এর ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার শিকার হতে পারেন। সেই ধরনের সমস্যা গুলোকে সমাধানের বিভিন্ন উপায় রয়েছে।
যদি আপনি সেই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করেন, তাহলে খুব সহজেই সমাধান করতে পারবেন। ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের সমস্যার সমাধান যেভাবে করবেন তার নিম্নরূপ -
- ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার এর মধ্যে এই দুইটি ব্যয়বহুল হতে পারে।
- ম্যাকবুক প্রো এই ম্যাকবুক এয়ার এর থেকে একটু বেশি ব্যয়বহুল হতে পারে।
- কিন্তু আপনি যেটিই ক্রয় করেন না কেন যদি কোন কারণে কখনো ত্রুটি বা কোন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ম্যাকবুক এয়ার খুবই হালকা হওয়ার কারণে এটি ভেঙে যেতে পারে।
- যদি কোনো কারণে এটি ভেঙে যায়, তাহলে ম্যাকবুক এয়ার মেরামত করার প্রয়োজন পড়তে পারে। বিশেষ একটি সমস্যা হতে পারে অত্যাধিক গরম হয়ে যায়।
- যার ফলে ডিভাইসের শীতল উপাদানগুলি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।
- ধূলাবালি জমে যেতে পারে, যার সময়ের সাথে সাথে শুকিয়ে যেতে পারে যা অতিরিক্ত গরমের দিকে নিয়ে যায়।
- আপনি ডিভাইস নিয়ে সেবা কেন্দ্র দিয়ে থাকে, এইরকম কোন সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করে এই ডিভাইসের ক্ষতিতে রোধ করতে পারেন।
- এছাড়াও ম্যাকবুক প্রো তে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
- ম্যাকবুক প্রো তে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে গ্রাফিক্স কোন ইস্যু থাকতে পারে।
- টাচ বারে সমস্যা হতে পারে। যদি ল্যাপটপ কোন কারণে গরম হয়ে যায় বা ডিসপ্লেতে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
- তাহলে ম্যাকবুক প্রো ব্যবহার করা খুবই সমস্যা হতে পারে।
- এই অবস্থায় যেহেতু গ্রাফিক্স কার্ড এর সমস্যা দেখা দেয়।
- সেইক্ষেত্রে আপনার গ্রাফিক্স কার্ড এর সমস্যার সমাধানের জন্য ভালো কোন সেবা কেন্দ্র থেকে দ্রুত মেরামত করে আসতে হবে।
- যখন ম্যাকবুক প্রো ব্যবহার করবেন, তার কিছু সময় পর যদি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের টাচ বারের আচরণ এমন হয়ে যায় যে আপনার টাচ বারের বোতাম গুলি ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে না।
- এই অবস্থায় আপনি টাচ বারের সমস্যাকে সমাধানের জন্য অ্যাপল টাচ বারে সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেন।
- এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
- ত্রুটিপূর্ণ অডিও ড্রাইভার এর জন্য বুট ক্যাম্প করতে পারেন।
- ঘন্টায় বিজ্ঞাপন আসতে পারে, যার ফলে ব্যাটারি চার্জ খুবই অল্প সময় থাকতে পারে।
- এই সমস্যাগুলো আপনার সফটওয়্যার আপডেটের ক্ষেত্রে হতে পারে।
- একাধিক টুল ব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
- এই ধরনের সমস্যাগুলো যখনই আপনি শিকার হবেন।
- যত দ্রুত সম্ভব অ্যাপলের সমস্যার সমাধানের জন্য অ্যাপল সেবা কেন্দ্রে মেরামত করে আসতে হবে।
শেষকথা
এই আর্টিকেল থেকে ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি সেই বিষয়ে, সঠিক ধারণা নিয়ে আপনি কিনার পূর্বে সহজে চূড়ান্ত একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই বিষয়ে জেনে আপনার উপকার হয়ে থাকলে, পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url