কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো

আপনারা কি জানেন কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো। যদি জানতে চান কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। আজকের আলোচনার বিষয়, কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো তা নিয়ে। কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো সে সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো 

ভূমিকা

কাঠবাদাম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী, আর এ কাঠ বাদাম আমরা বিভিন্নভাবেই খেয়ে থাকি। কাঠ বাদাম কাঁচা অবস্থায় খেলে এর পুষ্টিগুণ পুরোপুরিভাবেই পাওয়া যায়। তবে অনেকেই স্বাদের জন্য ভেজে খাওয়া পছন্দ করেন। কাঠ বাদামে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। আজকে আপনাদের জানাব, কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো সে সম্পর্কে। কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো তা নিচে আলোচনা করা হল।

কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো 

শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ কাঠ বাদামের গুণ অপরিসীম। নিয়মিতভাবে কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে হার্ট ভালো থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, এছাড়াও ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগের জন্য খুবই উপকারী। তবে জেনে রাখা ভালো অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো হয় না। অতিরিক্ত কাঠ বাদাম শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো দেখে নিন।
ওজন বৃদ্ধি করেঃ কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট সেই সাথে ক্যালোরি। অতিরিক্ত কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে বাড়তে পারে ওজন। এর কারণ ১০০ গ্রাম কাঠ বাদামে রয়েছে ৫০ গ্রাম ফ্যাট। তাই অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি।

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাঃ কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, কাঠ বাদাম কম করে খেতে হবে। সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

শরীরে টক্সিনঃ কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো, অতিরিক্ত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে শরীরে টক্সিন জমতে থাকে, এর ফলে নার্ভের সমস্যা দেখা যায় এবং শ্বাসকষ্ট ও হতে পারে। আর তাই বেশি পরিমাণে কাঠবাদাম খাওয়া উচিত নয়।

উচ্চ রক্তচাপঃ কাঠবাদামে সোডিয়ামের পরিমাণ খুবই কম থাকে, কিন্তু আপনি যদি বাদামের সাথে লবণ মিশিয়ে খান সেক্ষেত্রে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখনই শরীরের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়।

কাঠ বাদাম খাওয়ার পরিমাণঃ কাঠ বাদাম আমাদের জন্য অনেক উপকারী, তবে যেহেতু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়তে হয়। সেজন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০ গ্রাম কাঠবাদাম খাওয়া যাবে। ৪০ গ্রামের বেশি কখনোই কাঠবাদাম খাবেন না। চেষ্টা করবেন ৪০ গ্রামের কম কাঠ বাদাম খেতে।

কাঠ বাদামের উপকারিতা

আমরা আগেই জেনেছি অতিরিক্ত কাঠ বাদাম খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে পরিমাণমত কাঠ বাদাম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, সেই সাথে শরীরে নানা রকম পুষ্টি উপাদান দিয়ে থাকে। এখন আমরা জানব কাঠ বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে।
  • পরিমাণমত কাঠবাদাম খেলে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
  • হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে কাঠবাদাম খুবই উপযোগী।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে কাঠ বাদাম। 
  • শরীর ফুলে যাওয়া দূর করতে সাহায্য করে কাঠ বাদাম
  •  দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখতে ও ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে কাঠ বাদাম। 
  • নিয়মিতভাবে সঠিক পরিমাণে কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 
  • মেধার বিকাশে খুবই কার্যকর কাঠ বাদাম। 
  • গর্ভবতী মায়েদের জন্য কাঠ বাদাম খুবই উপকারী, এতে করে গর্ভবতী মা ও সন্তান উভয়ের উপকার হয়। আর তাই এদের ক্ষেত্রে ভিজিয়ে কাঠ বাদাম খাওয়াই ভালো।

কাঠ বাদাম চাষ পদ্ধতি

আমাদের দেশে অন্যান্য ফল গাছের পাশাপাশি কাঠ বাদাম চাষ করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকরা কাঠবাদাম চাষে তেমন আগ্রহী দেখায় না। অনেকে মনে করেন হয়তো কাঠ বাদাম ভালো ভাবে চাষ করা সম্ভব নয়। কাঠ বাদাম চাষ করার জন্য বেলে, দোআঁশ মাটি সর্বোত্তম। আর তাই বাংলাদেশের যে সমস্ত অঞ্চলে মাটি বেলে, দোআঁশ সে সমস্ত অঞ্চলে কাঠ বাদাম ভালোভাবে চাষ করা সম্ভব।

কাঠ বাদাম চাষ পদ্ধতি, প্রথমত কাঠ বাদাম চাষ করার জন্য ভালোভাবে জমি প্রস্তুত করতে হয়। জমির আগাছা ভালোভাবে পরিষ্কার করে, কাঠ বাদাম লাগানোর জন্য উপযোগী করে তুলতে হয়। তারপর কাঠ বাদাম গাছের চারা পর্যাপ্ত পরিমাণ গর্ত করে লাগিয়ে দিতে হয়। এরপর নিয়মিতভাবে গাছে পানি দিতে হয়, সেই সাথে প্রয়োজন মত সার ব্যবহার করতে হয়। কাঠ বাদামের চারা গাছটি যেন হেলে না পড়ে তাই একটি খুঁটি বেঁধে দিতে হয়। এটি আকারে ৩৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এভাবেই যত্ন করলে কাঠ বাদামের গাছ বড় হয়ে ফল দেয়।

কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলোঃ পরিশেষে

কাঠ বাদাম বা আমন্ড খেতে খুবই সুস্বাদু এবং অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। এটি সঠিক নিয়মে খাওয়ার ফলে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হয়। তবে অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি ও হয় সে সম্পর্কে আপনারা জেনেছেন।
আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জেনেছেন, কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক কোনগুলো, কাঠ বাদামের উপকারিতা ও কাঠ বাদাম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। ২৫২৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url