কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়?

কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? এই বিষয়ে জানেন কি। যদি অপরাধ সম্পর্কে জানা না থাকে কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? এই আর্টিকেলে কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
যদি কেউ আপনাকে অনলাইনে অযথা জ্বালাতন করতে থাকে এবং আপনার সম্মানকে হানি করার চেষ্টা করে, তাহলে সেটি সাইবার অপরাধের মধ্যে সাইবার বুলিং হিসেবে বিবেচিত হবে। এইক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনে সম্মানহানি ও কটূক্তি করার কারণে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।

পেজ সূচিপত্র

সাইবার অপরাধ কাকে বলে

কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? অপরাধমূলক বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ যেমন ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেইগুলো সংঘটিত হয়ে থাকে, সেগুলোকে মূলত সাইবার অপরাধ বলা হয়। ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে এই সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচাটা খুবই কঠিন হয়ে যায়।
অনেক সময় আপনি যদি অপরাধী নাও হন তাহলেও আপনি এই সাইবার অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতে পারেন। আবার অনেকেই রয়েছে ইচ্ছামত সাইবার অপরাধ করে থাকে যেমন হ্যাকিং, সাইবার বুলিং অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি করা বা অনলাইনে কাউকে ঠকানো ইত্যাদি অনেক ধরনের সাইবার অপরাধ করে থাকে।

সাইবার অপরাধের প্রকারভেদ কি

সাইবার অপরাধ শুধু এক ধরনেরই হয় না এটি অনেক ধরনের অপরাধের সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? বিশেষ করে সাইবার বুলিং এর মধ্যে যেই ধরনের অপরাধগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চলুন এর বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে আসি।

১। যদি কোন ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেইক্ষেত্রে আপনার সামাজিক নিরাপত্তার নম্বর বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যগুলো নিরাপদে রাখতে হবে।

২। কোন ধরনের অনুমতি ছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করাটা অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হয় সেটি কম্পিউটার বা বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ডিভাইস দিয়ে ব্যবহার করার মাধ্যমে কাজ করে থাকে।

৩। কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করার জন্য এক ধরনের ডিজাইন রয়েছে যাকে ডিজাইন করা সফটওয়্যার নামে ডাকা হয় যদি এটি ব্যবহার করা হয় তাহলে এটি সাইবার অপরাধের মধ্যে পড়ে।

৪। প্রতারণামূলক বিভিন্ন ধরনের ইমেইল বা ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে যদি আপনি ব্যক্তিগত কোন তথ্য প্রকাশ করে দেন তাহলে এটি যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে সাইবার অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হয়।

৫। কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? অন্য কোন ধরনের কম্পিউটার থেকে সিস্টেমের মাধ্যমে বা নেটওয়ার্ক চুরি করে এক্সেস নিয়ে যদি হ্যাকিং করার চেষ্টা করে থাকে।

৬। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন জালিয়াতি করে যদি কেউ অন্য কারো অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে তাহলে এটি সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়

ইন্টারনেট বা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যদি কাউকে উদ্দেশ্য করে আপনি কোন রকমের অপমান বা মানহানিকর কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। যার মাধ্যমে ভিকটিম খুবই হেয়প্রতিপন্ন হয়ে থাকে, সেটিকে সাইবার বুলিং বলা হয়।

কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? ঠিক এইভাবে যদি কোন ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে ছবি বা ভিডিও বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন মাধ্যমে যদি ছড়িয়ে দেয়। তাহলে এটি কেও সাইবার বুলিং বলা হয়ে থাকে। শিশু বা কিশোরীদের মধ্যে এই সাইবার বুলি অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে।
কারণ ভয় দেখিয়ে বা মানসিকভাবে নির্যাতন করে যৌন হয়রানিও করতে পারে যা সাইবার বুলিং এর আওতায় পড়ে। সামাজিকভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুক অথবা ইমেইলের মাধ্যমে গঠিত বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে মেসেজ বা অন্য কোন ধরনের ফেক আইডি ব্যবহার করে।

কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? প্রাপ্তবয়স্ক লোক অনেক হীনকাজে জড়িত হয় যা সাইবার বুলিং এর অন্তর্ভুক্ত হয়। তাই সহজে কাউকে বিশ্বাস না করে একটু যাচাই করে নিয়ে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

সাইবার অপরাধের কবলে পড়লে আইনি পদক্ষেপ কি হতে পারে

সাইবার অপরাধের কবলে পড়ে যে যদি আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান, তাহলে আপনাকে কিছু আইনি পদক্ষেপ নেওয়া লাগতে পারে। সেইক্ষেত্রে আপনি এই পদক্ষেপ দুইভাবে নিতে পারেন। যেমন থানায় এজাহার দায়েরের মামলা করে আসতে পারেন এবং বিভিন্ন প্রমাণ সাথে নিয়ে সঠিকভাবে কালেক্ট করে প্রিন্ট করতে পারেন।

এইক্ষেত্রে খুব দ্রুত আপনি পুলিশের কাছে যেতে পারেন। বিশেষ করে কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা যে আইন রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে এর পেনাল কোড বিদ্যমান রয়েছে যা অপরাধের উপর নির্ভর করে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

অপরাধকে বিচার করার জন্য যেহেতু ট্রাইবুনালের সংখ্যা একটি তাই সবার পক্ষে সেটি সুবিধা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষের জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তাই বিভাগীয় পর্যায়ে যদি দ্রুত সাইবার ট্রাইবুনাল স্থাপন করা যায় ভালো হবে।

তাহলে যোগ্য প্রসিকিউটর এর মাধ্যমে সাইবার অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সাইবার অপরাধের কবলে পড়লে কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? এই আইনে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন যেমন,

  • ডিজিটাল পরিষেবা দিয়ে থাকে এইরকম টাইপের সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিইআরটি ইনকে জানাতে হবে।
  • অশ্লীল বিষয়ের কোন বিষয়কে যদি ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেটি বন্ধ করার জন্য সাইবার স্বচ্ছতা কেন্দ্রতে যেতে পারেন।
  • বিভিন্ন তথ্য দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভূমিকা রয়েছে যার দায়িত্ব সম্পর্কে নীতি মানতে হবে।
  • নিয়মিত যেই সরকারি ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে সেগুলোর অ্যাপসগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে খোলা রাখা।
  • দেশের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে রক্ষা করার জন্য ন্যাশনাল ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোটেকশন সেন্টার গঠন রয়েছে।
  • তথ্যকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তার সংস্থাগুলিকে তালিকাভুক্ত করে রাখা।
  • বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা এবং সাইবার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মোকাবেলা করার জন্য পরিকল্পনা করে রাখা।
  • নিয়মিত সাইবার নিরাপত্তার জন্য অনুশীলন এবং প্রস্তুতি থাকা উচিত।

অনলাইন ও অফলাইনে সাইবার অপরাধের প্রভাব

অনলাইন থেকে যেইরকম সাইবার অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন উপায়ে অফলাইনেও সাইবার অপরাধের সংখ্যা কম নয়। অফলাইন সাইবার অপরাধের মধ্যে যেমন কোন ব্যক্তি যদি সংখ্যায় দুজন হয় তাদের মধ্যে যদি কোন বিভাগের বিষয় নিয়ে দোষারোপ বা খারাপ ভাষায় আক্রমণ করতে থাকে।

একজন ব্যক্তি অন্যজনকে তাহলে সেটি সাইবার অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হবে। এইক্ষেত্রে আক্রমণটি মৌখিকভাবেও হতে পারে বা লিখিতভাবেও হতে পারে। এছাড়াও কারোও ছবি বা ভিডিওকে বিকৃত করে অনলাইনে যদি বুলিং করে থাকে, তাহলে সেটি সাইবার অপরাধের মধ্যে পড়ে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করে আজেবাজে কথা বলার মাধ্যমে যদি সম্মানহানি করে, তাহলে সেটি সাইবার বুলিং এর অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম গুলোতে যদি কোন ব্যক্তির দুর্বল বিষয়কে কাজে লাগিয়ে মানসিক নির্যাতন করে থাকে, তাহলে সেটি সাইবার অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও যখন অপরাধ সংঘটিত হয়। সেইক্ষেত্রে কোন ধরনের মিথ্যা অভিযোগ বা কটুক্তির মাধ্যমে সেটি করতে পারে। এইক্ষেত্রে মানসিকভাবে স্বাস্থ্য খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং অনেকেই দেখা যায় অফলাইন সাইবার বুলিং এর ফলে আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে পারে।

এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে আছে। কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? অনলাইন ও অফলাইন থেকে সাইবার অপরাধের মাত্রা কমাতে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

সাইবার অপরাধে আইনি পদক্ষেপ কিভাবে নিবেন

অনেক সময় সাইবার অপরাধে আইনি পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়ে গেলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? এইক্ষেত্রে যখনই আপনি সাইবার বুলিং অর্থাৎ সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে যাবেন। তখন খুব দ্রুত আপনার নিকটস্থ কোনো থানায় যেয়ে একটি ডায়েরি করে আসতে পারেন।

পরবর্তীতে আপনি সাইবার বুলিংয়ের ব্যক্তিকে ধরার জন্য আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা খুলে বলতে পারেন। অনেক সময় ফেক আইডি দিয়ে হ্যাকাররা মিথ্যা কথা ছড়িয়ে দিতে পারে। এতে আপনার কাছে অনেক টাকা দাবিও করতে পারে। সেইক্ষেত্রে আপনি যখন সাইবার অপরাধের শিকার হবেন।
তখন সাথে সাথেই অনলাইনে হুমকির বিষয়টি ভিকটিম হিসেবে থানায় বলে আসবেন। সাইবার অপরাধকে দূর করতে হলে আইনের আওতায় এটিকে নিয়ে আসতে হবে। যেন কোনভাবেই সামাজিক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বা অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে এই সাইবার অপরাধ বাড়তে না পারে।

যদি কোনো কারণে আপনি থানায় মামলা করতে না পারেন। তাহলে কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? এটি জেনে নিয়ে যেকোন আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে সাইবার মামলা দাখিল করতে করে আসতে পারেন।

এছাড়াও আপনি সাইবার অপরাধের শিকার হলে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে সাইবার পুলিশে অভিযোগ করে আসতে পারেন এবং প্রয়োজনে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটেও যেতে পারেন।

সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হলে করণীয় কি

এই ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যম হওয়ায় সবচাইতে বড় যে অপরাধটি সেটি হল সাইবার অপরাধ যে অপরাধের মাধ্যমে অনলাইন জগতে সব ধরনের সমস্যার শিকার হতে পারেন ভিকটিমগণ। কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? যদি এই সময়ে আপনি সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে করণীয় বিষয়গুলো হলো -

  • যদি কখনো সাইবার অপরাধের আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে কোন অবস্থাতেই আপনাকে ভয় পাওয়া যাবে না।
  • সাইবার অপরাধের বিষয়টি আপনার পরিবারের সাথে বা আপনার খুবই আপনজন কারো সাথে শেয়ার করতে হবে।
  • এই অবস্থায় আপনার যত ধরনের প্রমাণ রয়েছে সবগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
  • যেকোনো ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট হঠাৎ করেই ডিলিট করে দিবেন না।
  • যখনই আপনি সাইবার অপরাধের ভুক্তভোগী হবেন সেইক্ষেত্রে আপনি সরাসরি আইনের সাহায্য নিতে পারেন।
  • যদি কোন ধরনের পদক্ষেপ আপনি নিতে না পারেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার রয়েছে অথবা যেকোন বিজ্ঞ আইনজীবী সাথে কথা বলে সাহায্য নিতে পারেন।
  • আপনাকে নিয়মিত সচেতনতার সাথে সাইবার অপরাধের করণীয় বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।

শেষকথা

আশা করছি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? সেই বিষয়ে খুব ভালোভাবে একটি ধারণা পেয়েছেন। যদি বিস্তারিত জেনে ভালো লেগে থাকে তাহলে আশেপাশের বন্ধুদের শেয়ার করে আমাদের পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url