কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়?
পেজ সূচিপত্র
- সাইবার অপরাধ কাকে বলে
- সাইবার অপরাধের প্রকারভেদ কি
- কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়
- সাইবার অপরাধের কবলে পড়লে আইনি পদক্ষেপ কি হতে পারে
- অনলাইন ও অফলাইনে সাইবার অপরাধের প্রভাব
- সাইবার অপরাধে আইনি পদক্ষেপ কিভাবে নিবেন
- সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হলে করণীয় কি
- শেষকথা
সাইবার অপরাধ কাকে বলে
কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? অপরাধমূলক বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ যেমন ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেইগুলো সংঘটিত হয়ে থাকে, সেগুলোকে মূলত সাইবার অপরাধ বলা হয়। ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে এই সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচাটা খুবই কঠিন হয়ে যায়।সাইবার অপরাধের প্রকারভেদ কি
সাইবার অপরাধ শুধু এক ধরনেরই হয় না এটি অনেক ধরনের অপরাধের সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? বিশেষ করে সাইবার বুলিং এর মধ্যে যেই ধরনের অপরাধগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চলুন এর বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে আসি।৩। কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করার জন্য এক ধরনের ডিজাইন রয়েছে যাকে ডিজাইন করা সফটওয়্যার নামে ডাকা হয় যদি এটি ব্যবহার করা হয় তাহলে এটি সাইবার অপরাধের মধ্যে পড়ে।
৪। প্রতারণামূলক বিভিন্ন ধরনের ইমেইল বা ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে যদি আপনি ব্যক্তিগত কোন তথ্য প্রকাশ করে দেন তাহলে এটি যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে সাইবার অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হয়।
৫। কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? অন্য কোন ধরনের কম্পিউটার থেকে সিস্টেমের মাধ্যমে বা নেটওয়ার্ক চুরি করে এক্সেস নিয়ে যদি হ্যাকিং করার চেষ্টা করে থাকে।
৬। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন জালিয়াতি করে যদি কেউ অন্য কারো অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে তাহলে এটি সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়
সাইবার অপরাধের কবলে পড়লে আইনি পদক্ষেপ কি হতে পারে
সাইবার অপরাধের কবলে পড়ে যে যদি আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান, তাহলে আপনাকে কিছু আইনি পদক্ষেপ নেওয়া লাগতে পারে। সেইক্ষেত্রে আপনি এই পদক্ষেপ দুইভাবে নিতে পারেন। যেমন থানায় এজাহার দায়েরের মামলা করে আসতে পারেন এবং বিভিন্ন প্রমাণ সাথে নিয়ে সঠিকভাবে কালেক্ট করে প্রিন্ট করতে পারেন।- ডিজিটাল পরিষেবা দিয়ে থাকে এইরকম টাইপের সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিইআরটি ইনকে জানাতে হবে।
- অশ্লীল বিষয়ের কোন বিষয়কে যদি ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেটি বন্ধ করার জন্য সাইবার স্বচ্ছতা কেন্দ্রতে যেতে পারেন।
- বিভিন্ন তথ্য দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভূমিকা রয়েছে যার দায়িত্ব সম্পর্কে নীতি মানতে হবে।
- নিয়মিত যেই সরকারি ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে সেগুলোর অ্যাপসগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে খোলা রাখা।
- দেশের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে রক্ষা করার জন্য ন্যাশনাল ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোটেকশন সেন্টার গঠন রয়েছে।
- তথ্যকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তার সংস্থাগুলিকে তালিকাভুক্ত করে রাখা।
- বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা এবং সাইবার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মোকাবেলা করার জন্য পরিকল্পনা করে রাখা।
- নিয়মিত সাইবার নিরাপত্তার জন্য অনুশীলন এবং প্রস্তুতি থাকা উচিত।
অনলাইন ও অফলাইনে সাইবার অপরাধের প্রভাব
একজন ব্যক্তি অন্যজনকে তাহলে সেটি সাইবার অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হবে। এইক্ষেত্রে আক্রমণটি মৌখিকভাবেও হতে পারে বা লিখিতভাবেও হতে পারে। এছাড়াও কারোও ছবি বা ভিডিওকে বিকৃত করে অনলাইনে যদি বুলিং করে থাকে, তাহলে সেটি সাইবার অপরাধের মধ্যে পড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করে আজেবাজে কথা বলার মাধ্যমে যদি সম্মানহানি করে, তাহলে সেটি সাইবার বুলিং এর অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম গুলোতে যদি কোন ব্যক্তির দুর্বল বিষয়কে কাজে লাগিয়ে মানসিক নির্যাতন করে থাকে, তাহলে সেটি সাইবার অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও যখন অপরাধ সংঘটিত হয়। সেইক্ষেত্রে কোন ধরনের মিথ্যা অভিযোগ বা কটুক্তির মাধ্যমে সেটি করতে পারে। এইক্ষেত্রে মানসিকভাবে স্বাস্থ্য খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং অনেকেই দেখা যায় অফলাইন সাইবার বুলিং এর ফলে আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে পারে।
এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে আছে। কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? অনলাইন ও অফলাইন থেকে সাইবার অপরাধের মাত্রা কমাতে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সাইবার অপরাধে আইনি পদক্ষেপ কিভাবে নিবেন
সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হলে করণীয় কি
এই ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যম হওয়ায় সবচাইতে বড় যে অপরাধটি সেটি হল সাইবার অপরাধ যে অপরাধের মাধ্যমে অনলাইন জগতে সব ধরনের সমস্যার শিকার হতে পারেন ভিকটিমগণ। কোন ধরনের অপরাধ কে সাইবার বুলিং বলা হয়? যদি এই সময়ে আপনি সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে করণীয় বিষয়গুলো হলো -- যদি কখনো সাইবার অপরাধের আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে কোন অবস্থাতেই আপনাকে ভয় পাওয়া যাবে না।
- সাইবার অপরাধের বিষয়টি আপনার পরিবারের সাথে বা আপনার খুবই আপনজন কারো সাথে শেয়ার করতে হবে।
- এই অবস্থায় আপনার যত ধরনের প্রমাণ রয়েছে সবগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
- যেকোনো ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট হঠাৎ করেই ডিলিট করে দিবেন না।
- যখনই আপনি সাইবার অপরাধের ভুক্তভোগী হবেন সেইক্ষেত্রে আপনি সরাসরি আইনের সাহায্য নিতে পারেন।
- যদি কোন ধরনের পদক্ষেপ আপনি নিতে না পারেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার রয়েছে অথবা যেকোন বিজ্ঞ আইনজীবী সাথে কথা বলে সাহায্য নিতে পারেন।
- আপনাকে নিয়মিত সচেতনতার সাথে সাইবার অপরাধের করণীয় বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url